বই কিনুন, বই পড়ুন
নবি মুহাম্মাদ (সা.)-কে জানুন
ইমান বৃদ্ধি করুন
প্রিয়জনকে উপহার দিন
হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শুধু মুসলমানদের জন্যই আদর্শ নয় বরং তিনি সমস্ত জিন ও ইনসানের জন্য আদর্শ । তিনি রাহমাতুললিল আল-আমিন অর্থাৎ সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ এসেছেন। নবিজির অনুসরণে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদিসহ সব জাতিই শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন মানুষকে সৃষ্টির সেরা ও শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মনোনীত করেছেন। মানুষের ধর্ম-কর্ম, আচার-আচরণ, ইবাদাত বন্দেগী, পরস্পরের সাথে সম্পর্ক, অন্যান্য সৃষ্টির সাথে সম্পর্ক সর্বোপরি তার প্রভুর সাথে সম্পর্কই তার শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। মানুষের এই শ্রেষ্ঠত্বের বহিঃপ্রকাশ মূলত উত্তম চরিত্রের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তাই আল্লাহ্ তা’আলা মানুষকে পরিশোধিত,পবিত্র ও পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলার জন্য এমন একজন শিক্ষক প্রেরণ করলেন যার বাহ্যিক রূপ অবয়ব মনুষ্যাকৃতির হলেও তার ভেতরটা সম্পূর্ণ ফেরেশতাতুল্য জীবন্ত চিত্র। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর প্রশংসা ঘোষণা করেছেন
ভিডিওতে কথা বলেছেন লেখক, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবিদ হোসেন এমবিবিএস (ঢাকা), এফসিপিএস (সার্জারি), এফআরসিএস (আয়ারল্যান্ড), এফআরসিএস (গ্লাসগো ইউকে), এমএস (ইউরোলজি), চেয়ারম্যান, রয়্যাল মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল ২০/৩, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা – ১২০৭
ভিডিওতে কথা বলেছেন লেখক, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবিদ হোসেন এমবিবিএস (ঢাকা), এফসিপিএস (সার্জারি), এফআরসিএস (আয়ারল্যান্ড), এফআরসিএস (গ্লাসগো ইউকে), এমএস (ইউরোলজি), চেয়ারম্যান, রয়্যাল মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল ২০/৩, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা – ১২০৭
এমবিবিএস (ঢাকা), এফসিপিএস (সার্জারি), এফআরসিএস (আয়ারল্যান্ড), এফআরসিএস (গ্লাসগো ইউকে), এমএস (ইউরোলজি), চেয়ারম্যান, রয়্যাল মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল ২০/৩, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা - ১২০৭
খুচরা মূল্য
আল্লাহ্ তা’য়ালা আপন মাহবুব রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে উম্মতের হেদায়েতের জন্য নমুনা স্বরূপ পাঠিয়েছেন এবং পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন :
অর্থ: আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহ্কে ভালোবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ্
তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিবেন। আল্লাহ্ বড় ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু।
[সুরা আল ইমরান : ৩ : ৩১]
রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বয়স ৪০ বছর পূর্ণ হলো। ৯ই রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার ৬১০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই ফেব্রুয়ারী হেরা গুহায় নবুয়তের সূর্য উদিত হলো। রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মধ্যে জন্মগতভাবে যে রুহানি শক্তি প্রদান করা হয়েছিল ইবাদাত, মুজাহাদা এবং নির্জনতা অবলম্বনের মাধ্যমে সে রুহানি শক্তি যখন পরিপূর্ণ ও শক্তিশালী হয়ে উঠল, ওহির বোঝা বহন করার এবং নবুয়তের মর্যাদা অর্জন করার জন্য যখন যোগ্য হয়ে উঠল তখন উক্ত তারিখে হেরা গুহায় নবিজির সামনে হযরত জিবরাইল (আ)-এর আবির্ভাব ঘটল। তিনি এসে বললেন ‘পড়ুন’। হযরত বললেন, ‘আমি তো পড়তে জানি না’। ফেরেশতা হযরতকে ধরে খুব জোরে চাপ দিলেন। অতঃপর ছেড়ে দিয়ে বললেন ‘পড়ুন’। হযরত আবার বললেন ‘আমি তো পড়তে জানি না’। ফেরেশতা আবার তাকে ধরে জোরে চাপ দিয়ে ছেড়ে দিলেন এবং বললেন ‘পড়ুন’। হযরত আবার বললেন ‘আমি তো পড়তে জানি না’। ফেরেশতা পুনরায় তৃতীয়বার ধরে জোরে চাপ দিলেন এবং ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘পড়ুন’। ‘পড়ুন’ সেই প্রভুর নামে যিনি সমস্ত বিশ্ব চরাচর সৃষ্টি করেছেন, যিনি মানবজাতিকে একটি জমাট রক্ত থেকে সৃষ্টি করেছেন, আপনি পডুন এবং আপনার প্রভু অত্যন্ত করুণাময়। যিনি মানুষকে কলমের দ্বারা শিখিয়েছেন। যিনি মানুষকে সেসব বিষয় শিখিয়েছেন যা তারা জানতো না।